বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত‍্যু হলো দুই ছেলের

9th October 2020 9:05 am বাঁকুড়া
বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত‍্যু হলো দুই ছেলের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : পিতা কে উদ্ধার করতে গিয়ে দেয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হলো দুই ছেলের এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ঘটনা বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার সুপুর গ্রামের । মৃত দুই পুত্রের নাম সন্তোষ বিশ্বাস বয়স ৬২ বছর ও বিকাশ বিশ্বাস বয়স ৫৫  । আহত বাবা অনিল চরণ বিশ্বাস বয়স ৯৫ বছর । 

স্থানীয় সুত্র জানতে পারা যায় প্রতিদিনের মতোই এদিনও রাতের খাবার খেয়ে ভেঙেপড়া ঐ পুরনো বাড়িতে বাবা দুই পুত্র ও বড় পুত্রবধূ এবং তার ছেলে নিয়ে ঘুমাতে যায় । আচমকাই রাত্রি একটা নাগাদ বাড়ির দেয়ালের মাটি খসে পড়তে থাকে এরপর বড় ছেলে সন্তোষ বিশ্বাস তার স্ত্রী ও পুত্র কে বাইরে বার করে বাবাকে উদ্ধার করতে পুনরায় ঘরের ভেতর ঢোকে ।  ঠিক তখনই দেয়াল চাপা পড়ে যায় বাবা ও দুই পুত্র । আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত ছুটে আসে গ্রামবাসীরা এরপর ঘটনার খবর দেয়া হয় জয়পুর থানায় । উদ্ধার করতে আসে দমকল বাহিনীর একটি ইঞ্জিন ও জয়পুর থানার পুলিশবাহিনী । রাতভর চলে উদ্ধার কার্য অবশেষে স্থানীয় বাসিন্দা , দমকল বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চার ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় দুই পুত্রের মৃতদেহ ও আহত পিতা অনিল কুমার বিশ্বাসকে ।
এরপর জয়পুর থানার পুলিশ আহত অনিল কুমার বাবুকে চিকিৎসার জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায় । তার সাথে সাথে মৃত দুই ব্যক্তিকে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল পাঠানো হয় ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।